নতুন মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় ৫টি কাজ
মা হওয়া নারীদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের
ব্যাপার। প্রতিটি নারীই এই স্বপ্ন দেখে থাকেন। তাই গর্ভধারণের ব্যাপারটি
তাদের কাছে অনেক বেশি মূল্যবান একটি সময়। গর্ভধারণের সময়টা শুধুমাত্র
নারীদের জন্যই নয় তার আশেপাশের সকলের জন্য আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়।
সঠিক পুষ্টি ও সঠিক নিয়মে কাজ কর্ম হচ্ছে কিনা তা সকলের জানা এবং সব সময় খেয়াল রাখার দায় দায়িত্ব সকলের।
কিন্তু সন্তান জন্মের পরের সময় অনেককেই
প্রসুতি মাকে অবহেলা করতে দেখা যায়। নতুন মা হয়ে নারীরাও সন্তানের খেয়াল
রাখতে গিয়ে লক্ষ্য রাখতে পারেন না নিজের প্রতি। কিন্তু এই সময়টাও নারীদের
স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।
এই সময়েও স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সকলের রাখতে
হবে বাড়তি একটু খেয়াল। যত্ন নিতে হবে নতুন মায়ের নিজেরও। এতে করে মা ও শিশু
দুজনেই সুস্থ থাকবেন।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ছেড়ে দেবেন না
গর্ভকালীন সময়ে মাকে যেভাবে যেধরনের
পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন ঠিক তেমনই গর্ভকালীন
পরবর্তী সময়ে একই পুষ্টিকর খাবার খাওয়া পরামর্শ দেন তারা।
কারণ বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য
একজন মাকে বাড়তি ২০০ থেকে ২২০ ক্যালোরি খাবার খেতে হয়। তাই প্রোটিন,
ভিটামিন, ফাইবার জাতীয় খাবার অবশ্যই এই সময় খাবেন।
ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান
গর্ভকালীন পরবর্তী সময়ে খাদ্যতালিকায়
অবশ্যই ফলমূল এবং শাকসবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দেবেন। কারণ বাচ্চাকে বুকের দুধ
খাওয়ানোর মাধ্যমে মায়ের শরীর থেকে শিশুর শরীরে পুষ্টি পৌছায়। ফলমূল এবং
শাকসবজি মায়ের দেহে পরিমিত পুষ্টি সরবরাহ করে মায়ের দেহ রাখে সুস্থ, এতে
শিশুও সুস্থ থাকে।
দেহের ওপর চাপ দিয়ে কাজ করবেন না:
মহিলাদের সংসারে অনেক ধরণের কাজ করতে হয়।
গর্ভকালীন পরবর্তী সময়ে অনেকেই নিজের আগের রুটিনে ফিরে যেয়ে শরীরের ওপর চাপ
ফেলেও কাজ করে থাকেন যা একেবারেই উচিৎ নয়। কাজ করুন, তবে বুঝে শুনে।
মনে রাখবেন মায়ের অসুস্থতার প্রভাব বাচ্চার
ওপর পরে। ঘণ্টা তিনেক ধরে রান্না করার কাজ না করে সহজ ধরণের রান্না করুন,
ঘরের কাজের জন্য সহযোগীর ব্যবস্থা করুন।
আস্তে আস্তে ওজন কমান:
গর্ভকালীন সময়ে বাড়তি খাবার খেয়ে এবং
বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য মায়েদের ওজন বেড়ে যায়। অনেক সাস্থ্যসচেতন মায়েরা
চেষ্টা করেন সেই ওজনটুকু কমিয়ে আগের মতো হয়ে যেতে চান। কিন্তু এই কাজটি বেশ
সাবধানে করতে হবে।
একবারে করতে পারবেন না, এতে শরীরের ওপর
খারাপ প্রভাব পড়বে। ডায়টিং করতে যাবেন না, খাদ্যতালিকায় সুষম খাবার রাখুন,
হালকা পাতলা ব্যায়াম করে নিন।
পানি ও পানি জাতীয় খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন:
প্রতিবার বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরে
এক গ্লাস পানি অবশ্যই পান করে নেবেন। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করবেন।
সেই সাথে ফলের রস, ডাবের পানি, গ্লুকোজ ইত্যাদি ধরণের পানি জাতীয় খাবার
রাখবেন। এতে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় পড়বেন না।
নতুন মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অবশ্য করণীয় ৫টি কাজ
Reviewed by Bangla health center
on
2:50 AM
Rating:
